স্বপ্ন নাকি লক্ষ্য? দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবসান

আমরা প্রতিটা মানুষ কতোই না স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নকে একটা ভিন্ন জগৎ বলা যায়। সেখানে নিজের মতো করে সাজানো গোছানো ব্যাপার গুলো থাকে। আপনাকে বলছি, আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন- আপনার অনেক স্বপ্নের মধ্যে কোন স্বপ্নটা ভালো লাগে কিংবা আপনি বাস্তবে দেখতে চান?

এই মুহূর্তে হাতে কাগজ আর কলম নিয়ে লিখতে বসুন আপনার সেই স্বপ্নগুলো যেটা আপনার মনে ধারন করে ছিলেন। কি লেখা শেষ তো ???


স্বপ্ন নাকি লক্ষ্য ?
এবার আসি মূল কথায়, স্বপ্নটাকে স্বপ্ন ভেবে গেলে তা আজীবনই স্বপ্নই রয়ে যাবে। একটু ঘেঁটে দেখুন "স্বপ্ন" শব্দটার ব্যাখ্যা কি? এক কথায় বলতে, অবাস্তব কিংবা কল্পনা। তাহলে কি স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেব? আসুন আমার শপত করি, আজ থেকে স্বপ্ন দেখা বন্ধ (মজা করলাম)।
স্বপ্নটাকে লক্ষ্যে রুপান্তর করতে হবে। "লক্ষ্য" শব্দটা বিশ্লেষণ করলে, কোথাও যাবার জন্য পথ হাটা বুঝায়। তাই আপনার কাগজে স্বপ্নের পাশাপাশি লক্ষ্য এই শব্দটা লিখতে পারেন।
যাইহোক, এইতো গেল স্বপ্ন আর লক্ষ্য। কিন্তু আপনার লক্ষ্যে কিভাবে পথ চলবেন সেটা অবশ্যই মাথায় রাখা উচিৎ।

কিছু জিনিস কখনোই বন্ধ করবেন না:

১. মনের দৃঢ়টাঃ প্রথমেই বলে রাখি, আপনার মন একদিনে স্থির হবে না। নব শক্তি সঞ্চার করুন, দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। আপনার লক্ষ্যে পোঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক কাজ সেরে নিন। আপনার কাজে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়ে যান।

২. গতি পর্যবেক্ষণঃ একজন গাড়ি চালকে সর্বদা তার গাড়ির গতির উপর নজর দিতে হয়। তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কোন পথে কতোটুকু গতি থাকবে তার নজরদারি করা আবশ্যক। ঠিক একই ভাবে আপনার লক্ষ্যে যাবার জন্য আপনার গতি সর্বদা পর্যবেক্ষণ করা জরুরী।

৩. বিশ্বাসঃ আপনি যেকোনো কাজই করতে পারবেন কারন সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সেই ক্ষমতা দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। তাই আপনার উচিৎ আপনার ক্ষমতাকে বিশ্বাস করে এগিয়ে যাওয়া।

৪. অঙ্গীকারঃ আপনার লক্ষ্যের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। আপনার ভবিষ্যৎ অর্জনটা হোক একটি চ্যালেঞ্জে। এটা শ্রুতিমধুর হবে তখনি, যখন আপনি পুরো দমে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে পারবেন।

সবশেষে একটা বিষয় মনে করিয়ে দিয়ে যাই, হতাশা নামক শব্দটা আমাদের তরুণ সমাজে একটি ব্যাধির মতো। হতাশায় ভুগে থাকে- জীবনের ছোট ছোট চাওয়া না পাওয়ার কারনে। তাই বলব হতাশ হবেন না, আপনার লক্ষ্যে এগিয়ে যান। আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য শুভ কামনা থাকলো। ভালো থাকবেন।