নীরবতা...!



নীরবতা কখনো কখনো ভালো, যখন নিঃসঙ্গ আমি একা থাকতে বেশি সাছন্দবোধ করি, ঠিক তখনি নীরবতা আসে। নিঃসঙ্গ আমিকে সঙ্গ দেয়। তখন দুনিয়ার কাউকে কাছে আসতে বারণ করে মন। নীরব আমি যখন শীতল হই কিছু স্বপ্নের টুকরো টুকরো খবর চলে আসে, এসে নীরবতাকে থামিয়ে দেয়। থেমে গিয়ে হঠাৎ কান্নার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। সেই সাথে পুরে যাওয়া ডিজেলের বিষাক্ত গন্ধ নাকের ভেতর একদম নসিকাগ্রথিতে সজোরে আঘাত করে। সেই আঘাতে রক্তাক্ত হবার আশংকা না থাকলেও কিছুটা শঙ্কা থেকেই যায়। এবার নীরবতা আরও নীরবে গভীরে লুকিয়ে যায়। চলে যায় সেই ইতিহাসের পারম্ভে, যেখানে শুধুই কিছু কালো কালি এবং স্পষ্টত লেখা 'আমি নীরবতা’র সঙ্গ চাই'

সঙ্গত কারণেই বলতে হয়, বলার জন্য কণ্ঠ না থাকলেও বলতে হয়। বলার জন্য চাই লেখা। যে লেখার ভিতর থাকবে লেখকের উত্তর, প্রশ্নের জাল। জাল থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে কিছু অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। সেই অভিজ্ঞতা জীবনের কিছু কিছু সময়ের ফাঁকে ফাঁকে এসে জানিয়ে দেয়, তুমি একজন কাঁচা খেলোয়াড়। যে খেলায় নেই ছক্কা, নেই কোন গোল। একদম শুন্য, শুন্য এবং শুন্য।

অযথা মাথা ঝাঁকিয়ো না। এটা কোন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত নয়, নয় কোন দৃষ্টি প্রতিবিম্বের এক ঝলক। এটা দূরত্বের মাঝে সৃষ্টি করে এক ছোট্ট পেয়ালা। সেই পেয়ালা থেকে উদাম হয়ে উড়ে যায় দেখতে সাদা সাদা ধোঁয়া। একসময় যখন ধোঁয়া চলে যায় সর্বোচ্চ স্তরে, ঠিক তখনি হুঁশ ফিরে আসে বাহুতে। বাহুতে বল আসে আস্তে আস্তে।