অদ্ভুত আলোর উৎস


অদ্ভুত আলোর উৎস

মাঝে মাঝে আমি দু’চোখ বন্ধু করে ভাবি, এই চোখ যদি আর না খোলা যায়, কিংবা এই অন্ধকার যদি আর না সরে যায়! তবে আমার কী হত? এই দু’চোখে আর কোন আলো পৌঁছাতে পারবে না। পৃথিবীর সুন্দর এবং আশ্চর্যান্বিত দৃশ্য আমায় আর আন্দোলিত করবে না। আমার দৃষ্টি এই পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যাবে। এই ভেবে ভেবে যখন নিজেকে আর খুঁজে পাই না ঠিক তখন দম বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়ে পড়ে।

আমি তো কখনোই এমনটা হতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি, জগতের কোন প্রাণীই তা চাইবে না। তবুও প্রকৃতির কিছু নিষ্ঠুর আচরণে অনেকেই এই শক্তি হারিয়ে ফেলে, তারা আমাদের আশে পাশেই বাস করছে। তাদের জন্য কিছুটা মায়া জন্মালেও কিছু করার থাকে না, অথবা করার থাকলেও করি না। নিজ শক্তির বড়াই করে যখন সেই দৃষ্টি কুদৃষ্টিতে পরিনত করি তখন হয়ত আমার সেই ভাবনা ঢাকা পড়ে কুদৃষ্টির আড়ালে।

কোন এক বিকেলের গোধূলি বেলায় সময়কে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সময় কি কারো কথায় ধরা দেয়? কিছুতেই না! তার গতি রোধ করা আমার মতো চুনোপুঁটি লোকর দ্বারা অসম্ভব। যদিও এই ইচ্ছাটি কারোর পক্ষেই পুরন করা সম্ভব নয়। অথবা কোন এক রাতে আকাশের চাঁদকে দেখলাম তার চারেদিকে রংধনুর মতো চক্রে নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে, সেই সাজানো মুহূর্ত কিছু সময়ের জন্যেই। তা ফিরে ফিরে পাবার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও, অতৃপ্তই থেকে যায়। জগতের এমন বহু মুহূর্ত আমায় মোহিত করে এবং ভবিষ্যতেও করবে। তবে তা ধরে রাখার উপায় থাকবেনা। আধুনিক যন্ত্রে ধরে রাখা গেলেও তার স্বাদ তিতা থেকে যায়। সেই মধুর মুহূর্ত বার বার আসবে না।


মূলত আমরা কয়েক মুহূর্তের জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করে আনন্দিত হই। এই পাওয়াটাই বা কম কীসে!