বাঁশি, সুমধুর সুরের অস্ত্র। এই অস্ত্রের মাঝে এমনি যাদু আছে যা মনের ভিতর
এক প্রাশান্তি বয়ে আনতে পারে। বাঁশির সুর সবাই তৈরি করতে পারে না। এর কিছু কৌশল
রয়েছে, যারা এই কৌশল শিখে শুধু মাত্রই তারাই এর সুর বের করতে পারে। বাঁশি সুর
এতটাই মধুর হয়, যেখানে থেকে এই সুর ভেসে আসে, ঠিক সেখানেই টেনে নিয়ে যায়।
নারীরা বাঁশির সুরের বশ মানে, তাঁরা ঘরে থাকতে পারে না। যার জন্য সুর তোলা
হয়, তার আসা চাই। এমন অস্ত্র দিয়ে নারীর মনে জায়গা করে নেয়া খুব সহজ কাজ। তবে
তাদের জন্য এই ব্যাপারটি খাটে, যারা ভালবাসতে জানে, যাদের হৃদয়ে এক মলিন জায়গা
রয়েছে, সেই জায়গায় শুধু তাদের জন্যই রক্ষিত থাকে যারা সেখানে পোঁছাতে পারে। আর
যারা পৌঁছে এবং সেই জায়গায় ভালোবাসার ঘর গড়ে তোলে। মূলতঃ বাঁশি একটি শান্তি প্রিয়
এবং ভালোবাসার অস্ত্র। যা ভুলিয়ে দেয় মনকে। সেই হেমিলিয়নের বাঁশিওয়ালার মতোই।
সকলকে ভুলিয়ে নিয়ে যায় এমন জায়গায়, যার হদিস কখনো পাওয়া যায়নি।
সুর এমনি ধ্বনি, যা দ্বারা নাগরানীকেও বশে আনা যায়। বীণ বাজিয়ে বাজিয়ে
সাপুড়ে যেভাবে তাদের বশ করে। তাদের পাগল করে। স্থির থেকে অস্থির হয়ে পরে। সবকিছু
ফেলে ছুটে আসে সেই ধ্বনির টানে। বাঁশির সুর ছুঁয়ে যাক সকল মানবের মনের গহীনে, জেগে
উঠুক আনন্দ-উল্লাস। সবশেষে, বাঁশির জয় হোক। ঘরে ঘরে এই অস্ত্র থাকুক। সকলে বাজানো
শিখুক।