দূরত্ব


দূরত্ব নিয়ে কতোটুকুই বা কারো ধারণা থাকে? কতোটুকু দূরকে দূরত্ব বলা হয়। তা হয়তো বলাটা কিঞ্চিৎ মুশকিল। এই দূরত্ব কিভাবে সৃষ্টি হয়। কিংবা তার আধিপত্য কিভাবে বিস্তার ঘটে তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। কেনো ঘামাইনা সেই তারও কোন নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই। তবে আমরা চাইলেই এই দূরত্বকে জয় করতে পারি। সকল জিনিস আমাদের কাছেই থাকবে। শুধু জানতে হবে, কিভাবে তা কাছে রাখতে হয়।

মাঝে মাঝে কিছু বস্তু এমনকি কিছু কিছু সম্পর্ক ক্রমেই এতোটাই দূরে চলে যায়, আমরা তা অনুধাবন করতে পারি না। আর যখন বুঝতে পারি, তখন কিছু করার থাকে না কিংবা সেই দূরত্বকে নিয়ে ভাবতে পারি না। অথবা ভাবি না। এতে করে সেই বস্তু কিংবা সম্পর্ক টা আরও দূরেই যেতে থাকে। যেতে যেতে এক প্রাচীর তৈরি করে দিয়ে যায়। যা কখনো ভাঙ্গা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

এই কারণেই অনেক অনেক বস্তুর ও সম্পর্কের মৃত্যু হয় সেই প্রাচীরের আড়ালেই। আমাদের মনের অজান্তেই তা ধীরে ধীরে ধুকে ধুকে করুণ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। একসময় তার আত্মা মিশে যায় এই জাগতিক মাহাকালের ব্যস্ততার মাঝে। ব্যস্ততা এতোটাই ঘিরে থাকে আমরা তখন চোখের দৃষ্টিতে এক বিভ্রম ছাড়া কিছুই দেখি না। একসময় তা অস্পষ্ট হয়ে মুছে যায় চিরতরে। ছিঁড়ে যায় বাঁধন। আটকে যাই নতুন কোন বিভ্রমের ভিতর। যেখানে থাকে আমি অথবা গোলকধাঁধার এক মনোরম পরিবেশ।