প্যান্ট নামাও, ভাব বাড়াও


জোয়ারদার বংশের ছোট বাত্তি। ফাহাদ আক্তার জোয়ারদার। আচার-আচরণে বাবু বাবু ভাব আছে। ভার্সিটির বন্ধু বান্ধব নিয়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডায় মজে মাঝে মাঝে। তারই ধারাবাহিকতায় ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে বন্ধুর (বঙ্গবন্ধু) বাড়ীর সামনে আড্ডা দেয়ার স্থান। বন্ধু কারিব হুসাইন লিমনকে নিয়ে বসে বসে ধোঁয়া ছাড়ে আর আজাইরা গান-বাজনা নিয়া আলাপ করে। 

তাদের সাথে আরও দুই জন যোগ দিল। রুবেল আহমেদ আর দেলওয়ার জাহান মুন্না। এসেই হাসতে হাসতে মুন্না বলে চলে ভার্সিটির সুন্দরী রমণীর কথা। এক সাথে বসে আজ ক্লাস করেছে। বুকের মধ্যে ভালবাসার চিহ্ন আকৃতির একটা যন্ত্র আছে, যাকে বলে- হৃদযন্ত্র। তার এই যন্ত্র মাঝে মাঝে গানের তালে তালে বিট মারে। অবশ্য তখন শাহরুখ খান আর কাজল অভিনীত একটা সিনেমার গান মনে বাজতে থাকে। পাশে বসা এক কম বয়সী ভদ্রলোক ফাহাদ আক্তারকে ইশারায় কাছে আসতে বলে। ফাহাদকে একটু কাছে টেনে নিয়ে হাত দিয়ে ইশারায় মুন্নার পিছনের দিক টা দেখিয়ে বলল, "দেখেন ভাই- আপনার ফ্রেন্ড বসে আছে। কিন্তু একটু নিচে দেখেন। তার ভিতরের প্যান্টের অর্ধেকটাই দেখা যায়। একি অবস্থা! দেখতে খারাপ লাগে ভাই।"

ফাহাদ মুন্নার কাছে এসে অট্টহাসি দিয়ে তার অবস্থার কথা চিল্লায় চিল্লায় বলল। মুন্না রেগে বলল, "বেডার চোখ আমার পিছেই পড়ল।" 

আমি যে যুগের কথা বলছি, তখন প্যান্ট নিচে নামানোর যুগ। রাস্তা-ঘাটে প্যান্ট নিচে না নামিয়ে চললে ভাব থাকে না। যার প্যান্ট যত নিচে, তার ভাব তত উপরে। 

নোট: কল্পনা করে লেখা। কারও সাথে মিলে গেলে কল্পনাকে দায়ী করতে পারেন।