দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ৭টি কৌশল!
মাঝে মাঝে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যাই। অর্থাৎ খুঁজে পাওয়াটা খুব কষ্টকর। আরও সহজে বলা যায় যে, আমার দরকারি কাগজ-পত্র কোথায় রাখলাম তা দরকারি সময়ে খুঁজে পাই না। হরহামেশাই এমনটা আমার নিজের সাথেই ঘটে থাকে। কোথায় রাখলাম তা হন্যে হয়ে খুঁজি। পরে যখন পাই তখন নিজের উপর রাগ উঠে। যদি ধারাবাহিকভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে ধরে নিতে হবে যে ‘স্মরণশক্তি দুর্বল’।
এমন কিছু কৌশল রয়েছে যা এই দুর্বলতা দূর করা যায় ক্রমশই।
ধীরে ধীরে তা অনুশীলন করে যেতে হবে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত মনে রাখা অবশ্যই জরুরী
হয়ে পরে। সুতরাং আমারা এই কৌশলগুলো নিয়মিত অনুশীলনে সচেষ্ট থাকবো।

১. মন দিয়ে অনুধাবনঃ মন কে যোগ করতে হবে আমাদের শিক্ষা
উপকরণের প্রতি। স্মৃতি মনে রাখতে মনোযোগ হল শ্রেষ্ঠ উপাদান। স্বল্পমেয়াদী
স্মৃতিশক্তিকে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। সুতরাং যখন যেই
কাজটাই করি না কেনো তা মনোযোগের সহিত পালন করতে হবে।
২. মুখস্ত বিদ্যা পরিহারঃ আমরা মুখস্ত করায় ব্যস্ত থাকি।
তবে মজার ব্যাপার হল, মুখস্ত বিদ্যা দীর্ঘমেয়াদী নয়। এক সময় ঠিকই স্মৃতি থেকে মুছে
যাবে। তাই মুখস্ত-বিদ্যায় নিজের স্মৃতিশক্তিকে স্বল্পমেয়াদী না করাই ভালো।
৩. গঠনগত এবং সংঘবদ্ধ অধ্যয়নঃ গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন
তথ্য গঠনগত এবং সংঘবদ্ধভাবে অধ্যয়ন করলে তা দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে রক্ষিত থাকে। সুতরাং
আমাদের এই সুযোগটি নিতে হবে। যেকোনো তথ্য হোক কিংবা কিছু মনে রাখতে হবে এমন বিষয়গুলো
নিজের মতো করে গঠন এবং সংঘবদ্ধ করে অধ্যয়ন করা উচিৎ।
৪. সম্প্রসারিত করার অভ্যাসঃ দীর্ঘমেয়াদী মনে রাখতে আমারা
যাই অধ্যয়ন করি না কেন তার খাতা-কলমে লেখা চাই। এতে করে সেই বিষয় খুব দ্রুত এবং
সহজেই মনে থাকবে।
৫. অবগত বিষয়ে সম্পর্ক স্থাপনঃ যখন আমারা অজানা বিসয়গুলো
পড়াশোনা করি, তখন জানা বিষয়গুলোর সাথে কিছুটা সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করতে পারি।
অর্থাৎ নতুন কোন ধারণা আমারা পুরনের সাথে যুক্ত করে মনে রাখতে পারি।
৬. কল্পনা করাঃ আমারা যে সকল জিনিশ নিয়ে পড়াশোনা করবো তা
নিয়ে কল্পনা করতে পারি। এবং এতে খুব কাজে লাগবে মনে রাখবার জন্য। সুতরাং আমারা এই
কাজটি অনুশীলনের মাধ্যমে করতে পারি।
৭. অন্যকে সাহায্য করাঃ অন্যকে সাহায্য করবেন কিভাবে?
হ্যাঁ অবশ্যই অন্যকে নতুন কিছু শেখানোর জন্য সাহায্য করবেন। এতে তার যেমন নতুন
কিছু তথ্য জানা হবে তেমনি আপনারও সেই সম্পর্কে জানাটা ভালো থাকবে।
আমারাদের মন এবং শরীর এই দু’ই সুস্থ রাখাটাও জরুরী। কারন
শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভালো থাকে। তাই শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিৎ এবং পর্যাপ্ত
পরিমাণে খাওয়া-দাওয়া এমনকি ঘুমের প্রয়োজন।
এই কৌশলগুলো ছাড়াও আপনি আপনার নিজের মতো করে কিছু কৌশল
তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলো নিয়মিত পালন করতে পারেন। আপনার যেমন দীর্ঘমেয়াদী ভাবে
স্মৃতিশক্তি বাড়তে তেমনি আপনার জ্ঞানও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। আপনার জন্য শুভ
কামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
স্বপ্ন, লক্ষ্য এবং অর্জন
বেঁচে থাকার চাহিদা
নিজেই যখন নিজের অনুপ্রেরক
সুস্থ সম্পর্কের জন্য চাই সুস্থ মন
আত্ম-উন্নয়নের মূলঃ সময় এবং পরিবেশ
জ্ঞান সম্পদ আরোহণের ৫ (পাঁচ) মাত্রাসমূহ
দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ৭টি কৌশল!
ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা, ইতিবাচক পরিবর্তন
'প্রশংসা' আদান-প্রদান এবং মনের অন্তঃস্থলের অনুধাবন
স্বপ্ন, লক্ষ্য এবং অর্জন
বেঁচে থাকার চাহিদা
নিজেই যখন নিজের অনুপ্রেরক
সুস্থ সম্পর্কের জন্য চাই সুস্থ মন
আত্ম-উন্নয়নের মূলঃ সময় এবং পরিবেশ
জ্ঞান সম্পদ আরোহণের ৫ (পাঁচ) মাত্রাসমূহ
দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ৭টি কৌশল!
ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা, ইতিবাচক পরিবর্তন
'প্রশংসা' আদান-প্রদান এবং মনের অন্তঃস্থলের অনুধাবন