নিঃসঙ্গতায় নয়, নির্জনতায় ডুবি




কখনো নিঃসঙ্গতা আর নির্জনতার মধ্যে কী তফাত তা কি অনুধাবন করেছি?

নিঃসঙ্গতা হল- একাকীত্বর অনুভূতি। যা মনকে কষ্ট দিয়ে থাকে। আর নির্জনতা হল- আত্ম-সচেতনতা যা নিজেকে নতুনত্ব এনে দিতে পারে।

নিঃসঙ্গতায় নয়, নির্জনতায় ডুবি

এই ঘূর্ণায়মান পৃথিবী আরো দ্রুত ঘুরে, যখন যোজন যোজন দূরে আপন কেউ একটি বার্তা পাঠিয়ে দেয় ছোট্ট একটা টেক্সের এর মাধ্যমে। ঠিক তখনি মনে হয়- নিঃসঙ্গতার অবসান হল। হয়তো সাময়িক আনন্দও দিয়ে থাকে। তবে উদ্বিগ্নের বিষয় হল- কখন যে আমরা এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পরি, তা নিজেরাও বুঝতে পারি না। এক পর্যায়ে সময় গুনতে থাকি কখন আবার আসবে বার্তাটি।

আরো স্পষ্টভাবে বললে- নিঃসঙ্গতা মনের নেতিবাচক অবস্থা। বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি। কিছু একটা হারিয়ে যাবার অনুভূতি। নিঃসঙ্গতার তিক্ত অভিজ্ঞতা তখনি হয়, যখন ভীরের মাঝেও নিজেকে একা মনে হয়। একাকীত্ব এক ধরনের শাস্তি স্বরূপ। অভাব, অতৃপ্ততা এবং বিরহ থেকে নিঃসঙ্গতা তৈরি হয়।

অন্যদিকে নির্জনতা মনের ইতিবাচক অবস্থা। যা ব্যাক্তি নিজেকে নিজে সঙ্গ দেয়। গঠনমূলক চিন্তা-ভাবনা এবং প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এ যেন এক বিস্ময়কর অনুভূতি। নিজেকে আবিষ্কারের সুযোগ। সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়া সম্পর্কে আরো স্পষ্ট ধারণা জন্মে। মনের প্রশান্তি কোথায় তা খুঁজে পাওয়া যায়। সতেজতার অনুভূতি দিয়ে যায়। নির্জনতার সুযোগ কাজে লাগানো যায় এইভাবে- কৃষক যেমন মাঠে ফসল চাষ করে, তেমনি মনের আঙ্গিনায়ও অনুভুতিগুলো চাষ করা যায়। ভিতরকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়।

নিঃসঙ্গতা অন্তঃসারশূন্য অনুভূতি দেয় আর নির্জনতা শরীর এবং মনকে পুনরুদ্ধার করে।