জ্ঞান সম্পদ আরোহণের ৫ (পাঁচ) মাত্রাসমূহ - প্রবন্ধ


"জ্ঞান" এমন একটি সম্পদ, যা দ্বারা আমারা প্রতিটা বিষয় সম্পর্কে বিস্তৃত হিসেব করে থাকি। কিছু কারনে অনেক সময় এমন প্রবণতা দেখা যায়, আমারা সব বিষয়গুলোকে একই সুত্রে গেঁথে পর্যালোচনা করে থাকি।

আমার মনে হয়, আমরা যদি জ্ঞান সম্পদ আরোহণে বিত্তশালী হতে পারি, তাহলে প্রতিটা বিষয় নিখুদভাবে বিশ্লেষণ করা সহজতর হবে। এটা হতে পারে আপনার জ্ঞান শক্তি আপানর জীবনের বাস্তবিক মূল্য প্রদান করে থাকবে।

মানুষের শিক্ষাটা অতৃপ্ত বাসনা হওয়া উচিৎ। এটি একটি জীবনব্যাপী খোঁজার পালা বলা যেতে পারে, সেই বাল্যকাল থেকে শুরু এবং কবর পর্যন্ত শেষ হওয়া। যদি জ্ঞানের অন্বেষণের মধ্য দিয়ে এগোতে পারি তাহলে এটি জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সহায়ক হয়ে থাকবে, যেমন-  শিক্ষা জীবন আকর্ষণীয় করে তোলে, উল্লাসজনক জীবনযাপন,  চ্যালেঞ্জিং কর্ম সম্পাদন এমনকি কৌতূহলী হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে থাকে।

আজ আমি জ্ঞান সম্পদ আরোহণের ৫ টি মাত্রাসমূহ নিয়ে আলোচনায় প্রবেশ করবো। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।

১. আমারা আসলে কি জানি: প্রথমত, আপনারা হয়তো আমার সাথে একমত হবেন যে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা উদ্দেশ্য নিয়ে জানার চেষ্টা করি না। সত্য সবার জন্যই গ্রহণযোগ্য। কিছু ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থাকে যা কিনা আমাদের মেনে নেয়াই শ্রেয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, প্রতিদিন কতো কিছুর নতুন নতুন গবেষণা হয়ে থাকে যা আমাদের ওই ব্যাপারটা ভালভাবে অনুধাবন করতে সাহায্য করে।

অপরদিকে, যদি কোন বিষয়ে আপনার খটকা কিংবা অস্পষ্ট ধারনার জন্ম নেয় ঠিক সেই মুহূর্তেই আপনার উচিৎ হবে গবেষণায় অংশ নেয়া। বলাতো যায় না, আপনার এই ছোট্ট উদ্যোগে এক বিশাল কিছুর সমাধান খুঁজে পেতে পারেন।

২. আমরা আসলে কি চিন্তা করি: এই পর্যায়টি আপনার জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ প্রদান করে থাকবে। অনেক সময় খেয়াল করে দেখবেন, আপনার কোন একটি বিষয়ে প্রকৃত জ্ঞান অভাবের কারণে আপনি দৃষ্টিভ্রম হচ্ছেন। এই ঘটনাটি আপনার জীবনে হরহামেশাই ঘটে থাকে কিন্তু, কেন একে অবহেলা করে উড়িয়ে দিচ্ছেন? সচেতন হয়ে উঠুন। সেই বিষয় নিয়ে চিন্তার সাগরে ডুব দিন। মনে রাখবেন বিশেষজ্ঞের জ্ঞান, বিশেষভাবে আরোহিত হয়ে থাকে।

৩. আমরা আসলে কি জানতে পছন্দ করি: আপনার মূল্যবান শিক্ষার জন্য এটি খুবি অর্থবহ। আমাদের মনের জানাটা অনেক বড় হয়ে থাকে কিন্তু, সেইসকল জিনিসের প্রতি বাস্তবিক অনুশীলন কম হয়ে থাকে। যার ফলে, আমারা আসলে কি জানতে চাই অথবা কি জানতে পছন্দ করি তা অনুধাবনের ঊর্ধ্বে থাকে।

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক: আপনি যদি সময় নির্ধারণ করে একটানা ১০ টি বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন, তাহলে ১০ টি বিষয়ের মধ্যে একধরণের আবছা আবরণ সৃষ্টি হবে। ঠিক এই কাজটি না করে যদি ১ টি বিষয় সম্পর্কে ভালভাবে জানার চেষ্টায় থাকেন তাহলে ওই ১ টি বিষয়ের খুঁটিনাটি সব আপনার আয়ত্তে থাকবে। এবার সিদ্ধান্ত আপনার কোনটি করবেন?

৪. কি জানার প্রয়োজন নেই: জগতের সব বিষয় আপনার জানতে হবে এমন কিছু ভাব্বেন না। অনেক কিছুই আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে, সেই বিষয় গুলোকে সুন্দরভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনার পছন্দের বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকবেন। মানুষের মন কখনো বহুমুখী কাজে মনোযোগী হতে পারে না, তাই সর্বদাই একটির পর অন্যটিতে যাওয়াই শ্রেয় মনে করি। মনে রাখবেন, অদরকারী বিষয়গুলো আপনার জ্ঞান সম্পদকে দুষিত করে দিতে পারে।

৫. জানার অভ্যাস আয়ত্ত: আপনার জ্ঞান আরোহণের অভ্যাসই আপনাকে এই সম্পদে শক্তিশালী করে তুলবে। মাঝে মাঝে আপনি হতবুদ্ধি হতে পারেন, যখন চিন্তা করেবেন কি জানতে চান কিংবা জানার জন্য কি করতে চান। একটু অনুধাবন করার চেষ্টা করুন, আপনার কাঙ্ক্ষিত জ্ঞান আরোহণের জন্য আপনার আশেপাশেই অনেক সাহায্যকারী উপাদান রয়েছে। যা দ্বারা আপনি জ্ঞানশক্তি বৃদ্ধি পাবে। আপনাকে শুধুমাত্র, এই উপাদানগুলোকে পরিচালনা করা জানতে হবে।

এই ছিলো আমার স্বল্প জ্ঞানে কিছু লেখার প্রয়াস মাত্র। আশাকরি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য করতে ভুলে যাবেন না। ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আসুন, আমরা সবাই জ্ঞানসম্পদ আরোহণে সচেতন হই এবং জ্ঞানের অন্বেষণে নিজেকে নিয়োজিত রাখি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।

স্বপ্ন, লক্ষ্য এবং অর্জন
বেঁচে থাকার চাহিদা 
নিজেই যখন নিজের অনুপ্রেরক
সুস্থ সম্পর্কের জন্য চাই সুস্থ মন
আত্ম-উন্নয়নের মূলঃ সময় এবং পরিবেশ
দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ৭টি কৌশল!
ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা, ইতিবাচক পরিবর্তন
'প্রশংসা' আদান-প্রদান এবং মনের অন্তঃস্থলের অনুধাবন