৭টি প্রয়োজনীয় বিষয় (স্বপ্ন, লক্ষ্য এবং অর্জন)

স্বপ্ন, লক্ষ্য এবং অর্জনে ৭টি প্রয়োজনীয় বিষয়


আমরা প্রত্যেকেই চাই- আমাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হোক। কখনো কি এমন কিছু স্বপ্নের তালিকা করেছি? তাহলে শুরু করা যাক এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার যা আমাদের জীবনে সত্য এবং বাস্তব হয়ে আসুক।
 
প্রথমত এটি স্পষ্ট এবং পরিস্কার হবার প্রয়োজন যে আমাদের স্বপ্নের তালিকার উপলব্ধিটা কেমন। প্রকৃতপক্ষে অবশ্যই স্বপ্ন গড়া ভালো, কিন্তু স্বপ্নগুলো স্পষ্ট নয়। সুতরাং এর আত্ম-উপলব্ধির পরিবর্তন প্রয়োজন।

স্বপ্ন, লক্ষ্য এবং অর্জন এই তিনের মাঝে পার্থক্য কোথায়?


স্বপ্ন, লক্ষ্য এবং অর্জন

স্বপ্ন অনেক অনেক হতে পারে। যদিও আমরা স্বপ্ন দেখতেই ভালবাসি। কিন্তু তা অর্জনের তেমন সচেষ্ট থাকি না। সময় যেমন পরিবর্তন হয় তেমনি আমাদের চিন্তা-ভাবনা এবং স্বপ্নগুলোও পরিবর্তন হতে থাকে। প্রতিদিনই কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিবর্তন হয়। আর এই পরিবর্তনের মাঝেই আমাদের স্বপ্নগুলো হারিয়ে যায়।

অনেক অনেক স্বপ্নগুলোর মধ্য থেকে কিছু স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং তা অর্জনে আমরা যখন সচেতনভাবে কাজ করি সেটাই হচ্ছে লক্ষ্য। সুতরাং লক্ষ্য হল- পরিশোধিত কিছু স্বপ্ন অর্জনের জন্য কাজ করা।

অর্জন তো সেটাই যখন স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে তা উপভোগ করা। এই উপভগের মাঝে চরম সুখ রয়েছে। একটি সফল অর্জন এই অনাবিল সুখ দিতে পারে। তাই আমারা বলে থাকি, “কষ্ট করে পাওয়ার মাঝে সুখ আছে”। আর এই কষ্ট বলতে আমাদের কাজের প্রয়াসকেই বুঝে থাকি। 

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, আমার একটি বাগান রয়েছে। সেই বাগানের সৌন্দর্য বর্ধনে কিছু ফল-ফুলের চারা গাছ রোপণ করা জরুরী। এইমতবস্থায়, আমার ভালো লাগে এমন কিছু চারা নির্বাচন করা উচিৎ যা আমার বাগানে স্থান পাবে, তাই নয় কি? ঠিক এইভাবেই কোটি কোটি স্বপ্ন থেকে শত শত স্বপ্ন বাছাই এবং তালিকা তৈরি করে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া এবং তা অর্জন করাই আমাদের কাম্য হওয়া উচিৎ।

লক্ষ্য এমন কিছু যা স্বপ্নের থেকেও বেশী কার্যকরী। অর্থাৎ স্বপ্নের গঠন হয় শুধু মাত্র কল্পনায় কিন্তু লক্ষ্য সেটাই যার বাস্তবিক অর্থ বিদ্যমান থাকে। আমাদের ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে আমাদের স্বপ্ন চোখের সামনে চলে আসে। আমাদের দৃষ্টি সেই লক্ষ্যের দিকে প্রখর হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে আমারা লক্ষ্যের প্রতি সজাগ হয়ে উঠি। সুতরাং আমাদের উচিৎ প্রেরণার উৎস গুলোকে নিয়ে লক্ষ্যের প্রতি এগিয়ে যাওয়া।

লক্ষ্য অর্জনে আমাদের যা প্রয়োজন  

সফলভাবে কিছু স্বপ্নকে বাস্তবে চোখের সামনে দেখতে চাইলে অথবা পেতে চাইলে প্রচুর উদ্দমতা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। অনেক অনেক স্বপ্ন থেকে এমন কিছু স্বপ্নকে বাছাই করে তা বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সম্ভাবনার দুয়ার দেখি, শুধু দেখলেই হবে না। সেই দুয়ার দিয়ে প্রবেশ করতে হবে নতুন কিছু আবিস্কার করার জন্য। সাধারণত একটি পংক্তিবিন্যাস করা যেতে পারে, যার একটি মাধুর্যতা বজায় থাকবে। লক্ষ্য অর্জন হলেই তা সফল হল বলে বিবেচিত হয়। কিছু সংখ্যক দরকারি উপাদান নির্ধারণ করে তা বাস্তবে অর্জন করা আমাদের লক্ষ্যের বিবেচ্য বিষয়।

১. স্থির সংকল্পঃ সময় এবং কর্মশক্তি আমাদের বড় ধরনের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং সময় এবং কর্মশক্তির জন্য দৃঢ় সংকল্প ধারন করতে হবে।

২. বড় লক্ষ্যকে ছোট টুকরোয় রূপান্তরঃ বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য সেটাকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করতে হবে। অর্থাৎ পদবিন্যাসের মাধ্যমে আমরা সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে যেতে পারি।

৩. উন্মত্ততা দূর করাঃ যদি আমাদের অধ্যবসায় দুর্বল থাকে তবে এ কোন বিষয় নয়, আমরা কি করছি। যখন আমরা গুরুত্ব বুঝে অর্জনে এগিয়ে যাব তখন তা সচেতনভাবেই কর্মশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

৪. অগ্রগতি মূল্যায়নঃ লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের অবশ্যই উন্নতির দিকে ধাবিত হতে হবে। অর্থাৎ আমাদের গতিপ্রকৃতি পরীক্ষা করতে হবে। দৃষ্টিকে প্রখর করতে হবে লক্ষ্যের প্রতি।

৫. নিজেকে বিশ্বাসঃ সন্দেহ শুধুমাত্র নষ্ট করে সময় এবং শক্তি। সন্দেহ অবসান করে লক্ষ্যের প্রতি এগিয়ে যাওয়াটাই মুখ্য।

৬. দায়িত্ব গ্রহণঃ প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যকে বর্তমান প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখতে হবে। যদি আমারা সেই দায়িত্বটা সঠিকভাবে গ্রহণ না করি তাহলে সফলতা আসবে কিনা তা সন্দিহান অবস্থায় থাকে।

৭. বিবেচনা করাঃ অন্যকে প্রকাশ করা যা আমারা করছি কিংবা ভবিষ্যতে করবো বলে চিন্তা করি। এতে একটি হিসাব থাকে। মনের ভিতর থেকে তা সম্মুখে চলে আসে এবং তা অর্জনে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পাওয়া যায়।

সর্বশেষে, আমারা অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য অর্জনের সচেষ্ট থাকব। আমারা হিসেব করবো আমাদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়ন করে। মনে উদ্দমতা এবং আনন্দ জাগিয়ে কাজ করতে হবে, নয়তো বেশী দূরে এগিয়ে যেতে পারব না। সুতরাং আমরা সকল বাঁধাকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাব। শুভ কামনা রইল আপনার, আমার এবং সকলের জন্য। ভালো থাকবেন।

স্বপ্ন, লক্ষ্য এবং অর্জন
বেঁচে থাকার চাহিদা 
নিজেই যখন নিজের অনুপ্রেরক
সুস্থ সম্পর্কের জন্য চাই সুস্থ মন
আত্ম-উন্নয়নের মূলঃ সময় এবং পরিবেশ
জ্ঞান সম্পদ আরোহণের ৫ (পাঁচ) মাত্রাসমূহ
দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ৭টি কৌশল!
ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা, ইতিবাচক পরিবর্তন
'প্রশংসা' আদান-প্রদান এবং মনের অন্তঃস্থলের অনুধাবন