বেঁচে থাকার চাহিদা
(প্রবন্ধটি একটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য লেখা)
তোমরা নিশ্চয় জানো, মানুষের মৌলিক চাহিদা কয়টি ও কী কী। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা। এই পাঁচটি জিনিস মানুষের জীবনের চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে তোলে, যখন চাহিদাগুলো পূর্ণ হয়। তবে আজ তোমাদের অনেক বড় একটি চাহিদার কথা স্মরণ করাতে চাই, আর তা হল- ‘বেঁচে থাকার চাহিদা’। আমাদের নিশ্বাস বন্ধ হলেই আমাদের চাহিদারও সমাপ্তি ঘটে। সেই নিঃশ্বাস নেবার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। তোমরা এও জানো এই অক্সিজেন কোথা থেকে উৎপন্ন হয়। সবুজ গাছ থেকেই এই অক্সিজেন আমরা পাই।
একটু সময় নেবো তোমাদের, তোমাদের এমন
এক পৃথিবীতে নিয়ে যেতে চাই, যেখানে কোন গাছ নেই। বলতো তাহলে
কিভাবে আমারা বেঁচে থাকবো? নিশ্চয়ই ভাবনায় পড়ে গেছ। পড়বারই
কথা, কারণ এমনটা কখনো ভাবনায় আসেনি। তবে জেনে রাখো আমাদেরই
কারণে পৃথিবী একদিন এই রুপ ধারণ করবে। যেখানে আমাদের বেঁচে থাকাটাই দুরূহ ব্যপার
হয়ে দাঁড়াবে। তাই আমি বলবো, তোমরা প্রত্যেকেই একটি কাজ
করতে পারো, আর তা হল- প্রতি বছরের শুরুতেই দুটি করে গাছ
লাগাও। আর অবশ্যই তার যত্ন নিবে, যাতে অযত্নে গাছটি মারা না
যায়। এবং মনে রাখবে এই গাছ দুটোই তোমার জন্য অক্সিজেন উৎপন্ন করবে। এর ফলে তোমরা
অক্সিজেন নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নিবে এবং তোমাদের বেঁচে থাকার চাহিদা পূর্ণ হবে।
এবার একটু খেয়াল কর, আমি বিশ্বাস করি তোমরা
অনেকেই অনেক ভাল এবং সুস্থ কাজ করে থাকো। এখন আমি তোমাদের এমন চারটি ভাল কাজ করতে
বলবো, যা তোমাদের জীবনকে নতুন শক্তিতে শক্তিশালী করে তুলবে।
১. পেটের জন্য কাজ করা,
২. মনের জন্য কাজ করা,
৩. মানুষের জন্য কাজ করা,
৪. ঈশ্বরের জন্য কাজ করা।
এই চারটি কাজ কিভাবে করা যায়, তা নিয়ে
আলোচনা করবো। তবে তার আগে তোমরা তোমাদের নিজেদের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে যে,
তোমরা প্রত্যেকেই প্রতিদিন এই চারটি কাজ করবে। কি প্রস্তুত তো?
হ্যাঁ অবশ্যই তোমরা প্রস্তুত।
১. পেটের জন্য কাজ করাঃ তোমরা ক্ষুধা কেমন এবং এর অনুভূতিটাই কেমন তা
সহজেই অনুধাবন করতে পারো, যখন তোমরা ক্ষুধার্ত থাকো। একটু লক্ষ্য
করলে দেখবে, পেটে ক্ষুধা নিয়ে কোন কিছুতেই মনঃসংযোগ
ঘটানো যায় না। কবি তো বলেই গেছেন, “ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী
গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি”। শরীর এবং মন এই দুটো অস্তিত্বকে প্রাণবন্ত রাখতে প্রতিনিয়তই সুষম খাবার
গ্রহণ করবে। যা শরীর এবং মনের জন্য ভালো নয়, তা সর্বদাই
বর্জন করা উচিৎ। আরেকটি উক্তি তোমরা বই-পুস্তকে প্রাই পড়েছো, তা আবার স্মরণ করিয়ে দেই- স্বাস্থ্যই সম্পদ কিংবা স্বাস্থ্যই সুখের মূল।
এই বাক্য দ্বারা তোমরা কী বুঝো? আমি জানি তোমরা সকলেই
তোমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন। আমাদের প্রতিটি অংশ যা আমাদের শরীর জুড়ে রয়েছে,
তা খুবই মূল্যবান সম্পদ। যারা এই সম্পদ হারায় তাদের
দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছুই নয়। এবং তারা তখন বুঝতে পারে এই সম্পদের কাছে পার্থিব সম্পদ
মূল্যহীন বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়।
তোমাদের জন্য একটি উপদেশ থাকবে, আর তা হল-
তোমারা অবশ্যই সচ্ছল হবে, এবং সচ্ছলভাবে জীবন যাবন করবে।
অর্থের নিকট নিজেকে কখনোই বিলিয়ে দিবে না। কারণ, পৃথিবীতে
যারা লোভ-লালসা নিয়ে বেড়ে উঠেছে তাদের পতন খুব করুন ছিল। লোভ-লালসা মানুষের
মনুষ্যত্বকে বিকৃত করে দেয়, সেই সাথে অশান্তির সাগরে ভাসিয়ে
দেয়।
২. মনের জন্য কাজ করাঃ তোমরা কি জানো- শরীরের যেমন রোগ হয়, তেমনি মনেরও রোগ হয়। আমরা শরীরের জন্য ঔষধ সেবন করি, কিন্তু মনের জন্য কী করি? কিছু কি করা হয়? সম্ভবত করা হয় না। মনকে সুস্থ এবং সবল রাখতে হলে অবশ্যই এর যত্ন নিতে
শিখতে হবে। ভাল এবং সুস্থ চিন্তা-ভাবনার মাঝে মনোনিবেশ করবে, তোমাদের ভাল মনের বাসনাগুলোকে পূর্ণ করবে। মন্দ এবং অসুস্থ ভাবনাগুলোকে
বিদায় জানাবে এবং তাদের জন্য কোন স্থান রাখবে না। তারা স্থান পেলেই তোমাকে ভুল পথ
দেখিয়ে, ভুল কাজগুলো করিয়ে নিবে। তাই মনকে সুস্থ এবং সবল
রাখতে তোমারা যে কাজটি করতে পারো তা হল- পড়াশোনা, লেখা-লেখি
এবং সৃষ্টিশীল কিছু কাজ যা তোমার মনের গহীনে আনন্দ জাগাবে। তোমরা তোমাদের জ্ঞানকে
সমৃদ্ধ করতে পারো পড়াশোনা করে। তোমরা নিশ্চয়ই অনেক মনোযোগের সহিত নিজেদের পাঠ্য বই
অধ্যয়ন কর। যা তোমাদের পরীক্ষায় ভাল ফলাফল এনে দেয়, এবং
তোমাদের খুশি করে। তবে আমি বলবো, তোমাদের পড়াশোনার উদ্দেশ্য
একটু বড় হওয়া দরকার। উদ্দেশ্য এমন হওয়া উচিৎ- ভাল ফলাফলের পাশা পাশি জ্ঞান অর্জন।
তোমাদের জ্ঞান যত সমৃদ্ধ হবে, তোমরা নিজেদেরকে আরও ভালভাবে
পরিচালনা করতে পারবে। আর এই জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই
যেমন- সাহিত্যমূলক, ইতিহাসমূলক, বৈজ্ঞানিক,
ধর্মীয় এবং আরও কিছু তথ্য সমৃদ্ধ বই যা তোমাদের এক নতুন ভাবনার জন্ম
দিয়ে জীবনকে আনন্দময় করে তুলবে।
বই নিয়ে কিছু বিখ্যাত মানুষের ভাবনাগুলো তোমাদের জানাতে চাই-
ধন বল, আয়ু বল, অন্যমনস্ক ব্যক্তির ছাতা বল, সংসারের যত কিছু মরণশীল
পদার্থ আছে বাংলা বই হচ্ছে সকলের সেরা।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বই পড়াকে যথার্থ হিসাবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে, তার জীবনের দুঃখকষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়।
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সুখে দুঃখে সুন্দর কুৎসিতে ভালমন্দে মানুষের জীবন, আর এক একটা বই এক একটা জীবনের প্রতিবিম্ব, অনন্ত
মানুষের অফুরন্ত জীবন নিয়েই মানুষের পরিপূর্ণ মহাজীবন। এ মহাজীবনের আদিও নেই অন্তও
নেই। জীবনের সাক্ষাৎ পরিচয় এক মানব-জীবনে সম্ভব নয়। কেবল বই পড়েই মানুষ তার
পরিপূর্ণ একটা ইঙ্গিত, একটা সঙ্কেত আভাস লাভ করতে পারে।
- ড. এনামুল হক
বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক।
সৃষ্টির আদিকাল হইতে মানুষ আসিয়াছেন, আর চলিয়া গিয়াছেন,
খ্যাতিমান অর্থ, শক্তি কিছুই কেহ রাখিয়া যাইতে
পারেন নাই। কিন্তু বইয়ের পাতা ভরিয়া তাহারা তাহাদের তপস্যা, আশা-আকাঙ্ক্ষা,
তাহাদের নৈরাশ্য, কি হইতে চাহিয়া কি তাহারা
হইতে পারেন নাই, সবকিছু তাহারা লিখিয়া গিয়াছেন।
- জসীমউদ্দীন
বই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ আত্মীয়, যার সঙ্গে
কোনোদিন ঝগড়া হয় না, কোনোদিন মনোমালিন্য হয় না।
- প্রতিভা বসু
বরং প্রচুর বই নিয়ে গরীব অবস্থায় চিলেকোঠায় থাকবো, তবু এমন রাজা হতে চাই না যে বই পড়তে ভালোবাসে না।
- মেকলে
যার যে বই ভালো লাগে, তাই-ই তার
পড়া উচিৎ। কেননা, বাধ্যতামূলকভাবে বা শেখার আগ্রহ নিয়ে বেছে
পড়লে তাতে প্রকৃত কাজ হয় সামান্যই।
- স্যামুয়েল জনসন
“বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন”কে প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীতে
সবচেয়ে দয়ার পাত্র কে? উত্তরে তিনি বললেন, বৃষ্টির দিনে যে ব্যক্তি নিঃসঙ্গ অথচ পড়তে জানে না। সুতরাং বুঝতেই পারছো
কেন বই পড়তে হবে। আমি তোমাদের প্রতি আশা করব, তোমরা নিশ্চয়ই
ভাল বইগুলো নিজেদের মনের জন্য বাছাই করবে।
৩. মানুষের জন্য কাজ করাঃ “মানুষ
মানুষের জন্য” এই কথাটি নিশ্চয়ই শুনেছ। আমি আবারও শুনাতে চাই
তোমাদের। আমি বিশ্বাস করি, তোমরা নিশ্চয়ই মানুষের জন্য কাজ
কর। একটি উদাহরণ দিয়ে বলি, ধরো রাস্তায় এক অন্ধ লোক যে চোখে
দেখতে পারে না দাঁড়িয়ে আছে। তাকে রাস্তাটি পার হতে সাহায্য কর, দেখবে তোমার
নিজের মনে এক আনন্দের জোয়ার চলে আসছে। তাহলে তোমরাই বল, নিজেকে
অনন্দিত রাখতে মানুষের জন্য কাজ করা অর্থাৎ সাহায্য করা কতটা ভাল কাজ। এভাবে ভালো
ভালো কাজগুলো তোমরা করতে থাকবে এবং একসময় বুঝবে তোমার মনে মন্দ কাজগুলো ক্রমেই দূর
হচ্ছে। কি তোমরা ভালোর পথে থাকবে তো? অবশ্যই থাকবে।
ইতিবাচক মন নিয়ে মানুষকে সহায়তা করতে থাকো, এবং যাকে সাহায্য করবে তার মনও আনন্দে থাকবে, সেই
সাথে তোমার পুণ্যের ঝুলিও বাড়তে থাকবে। মানুষকে কখনোই তোমার প্রতিযোগী ভাববে না,
বরং তোমার প্রতিযোগী তুমি নিজেই। নিজের সাথে প্রতিযোগিতা কর।
প্রতিদিন নিজেকে উন্নত জীবনের দিকে ধাবিত কর। মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হও,
ক্ষমাশীল হও। ক্ষমাশীল হাবার জন্য একটি কবিতা পাঠ করতে পারো,
যা তোমাদের মনকে মসৃণ করে তুলবে।
যখন ক্ষমা করা খুব কঠিন
By Paulo Coelho
আমি ক্ষমা করি, কান্নাকে
আমি ক্ষমা করি, বেদনা
আর হতাশাকে
আমি ক্ষমা করি, বিশ্বাসঘাতক
আর মিথ্যাবাদীকে
আমি ক্ষমা করি, মিথ্যা-চক্রান্তকে
আমি ক্ষমা করি, ঘৃণা
আর লাঞ্ছনাকে
আমি ক্ষমা করি, আঘাতকে
যা আমায় প্রতিনিয়তই আঘাত করে।
আমি ক্ষমা করি, ধ্বংসাত্মক
স্বপ্নকে
আমি ক্ষমা করি, মৃত
আশাকে
আমি ক্ষমা করি, শত্রুতা
এবং ঈর্ষাকে
আমি ক্ষমা করি, ঔদাসীন্য
এবং মন্দ ইচ্ছাকে
আমি ক্ষমা করি, ন্যায়বিচার
নামে অবিচারকে
আমি ক্ষমা করি, ক্রোধ
এবং নৃশংসতাকে
আমি ক্ষমা করি, অবহেলা
এবং অবজ্ঞাকে
আমি ক্ষমা করি, পৃথিবীকে
এবং এর সকল কুদৃষ্টিকে
আমি আরও ক্ষমা করি, আমাকে।
পূর্বের দুর্ভাগ্য রবে না বেশিদিন মর্মস্থলে,
ব্যথার পরিবর্তে, আমি বুঝবো এবং দয়া করবো,
বিদ্রোহের পরিবর্তে, আমি সুর-সঙ্গীতে মেতে উঠবো,
ধরে রাখার পরিবর্তে, আমি ভুলে যাব,
প্রতিহিংশার পরিবর্তে, আমি জয়ী হব,
আমি ভালোবাসতে সক্ষম হব,
বিনিময়ে কি পেলাম তা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে,
আমি আরও ভালবাসবো।
এমনকি যখন আমার নিকট কিছুই রবে না,
আমি সানন্দে পরিশ্রম করতে থাকবো,
এমনকি কঠিন সমস্যার মধ্যেও,
আমি হাত গুঁটিয়ে থাকবো না,
এমনকি যখন খুব একাকী এবং পরিত্যক্ত
অবস্থা,
আমার চোখের জল শুঁকিয়ে যায়,
যখন বিলাপ করি আমার বিশ্বাসকে নিয়ে,
এমনকি যখন কেউ আমায় বিশ্বাস করে না,
তখনও আমি ক্ষমা করি পৃথিবীকে এবং আমাকে,
এইরকমই হয়, এইরকমই হবে।
৪. ঈশ্বরের জন্য কাজ করাঃ আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, আমাদের সৃষ্টি করেছেন আমাদের ঈশ্বর। তিনি আমাদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন কিছু
দায়িত্ব দিয়ে। সুতরাং তার দেখানো পথ, আদেশ-নিষেধ মেনে চলা
আমাদের কর্তব্য। পাপ থেকে দূরে থেকে, পুণ্যের পথে চলতে হবে।
মৃত্যুর পরে যে জীবন আমরা পাবো তার জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করব।
আরও প্রার্থনা করব, তিনি যেন আমাদের সকলকে ভালো
রাখেন। সেই সাথে সুস্থ, সবল এবং সফল জীবন দান করেন।
আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করব, তোমরা উক্ত
চারটি কাজ ভালভাবে আয়ত্তে আনবে এবং প্রতিনিয়তই তা অনুশীলন করবে। তোমরা তোমাদের
জগতে একজন সফল ব্যক্তি হয়ে ওঠো এই কামনাই করি।
সব শেষে আমি প্রায়াত এলবার্ট এর একটি উপদেশ দিয়ে শেষ করব, তা হল- “যখন তুমি ঘর হতে বের হবে তখন মনে-মনে গ্লানি
রাখবে না, দৃঢ় পদক্ষেপে চলবে, বুক
ফুলিয়ে হাঁটবে, কোন বন্ধুর দেখা পেলে তার সাথে হাসিমুখে কথা
বলবে। কোথাও কোনো কারণে ভীত হবে না, কাউকে শত্রু মনে করে
চিন্তায় সময় নষ্ট করবে না। তুমি কী করতে চাও তা মনে মনে ঠিক করে নেবার চেষ্টা কর
এবং অতঃপর সেই স্থির লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে চল। যে কাজটি তুমি করতে চাও, তার উপর তোমার মন স্থির রাখো, তাহলে তুমি দেখতে পাবে
যে, তুমি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে গেছো, তুমি সাফল্য লাভ করেছ। সময় ও স্রোত তোমার লক্ষ্য অর্জনে বাধা হয় নি,
তুমি যা হতে চাও তা কল্পনা কর, কোনো একজনকে তা
হবার আদর্শ হিসাবে কল্পনা কর, মনে-মনে তার ছবি এঁকে
নাও। অতঃপর সফলতার লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ কর, সাফল্য
আসবে। চিন্তা হচ্ছে বড় শক্তি। দৃঢ় মনোবল নিয়ে অটুট বিশ্বাস নিয়ে তোমার বিষয়টি
চিন্তা কর। এই চিন্তা তোমার মনকে করে তুলবে সৃজনশীল। ইচ্ছানুযায়ী কর্ম হয় এবং সব
কর্মের ফলোদয় হয়। আমাদের মন যেরূপ আমরাও হই ঠিক সেরুপ। নিজের চিন্তা নিয়ে লক্ষ্য
স্থির করে মাথা উঁচু করে চলো, সাফল্য আসবেই”