শোক নয়, সুখ সংবাদ



সংবাদশব্দ টা শুনলে প্রথমেই মনে হবে, টেলিভিশন কিংবা রেডিওর কোন খবর। হয়তো দেশ-বিদেশের সংবাদ। আবার প্রত্রিকার সংবাদও মনে হওয়া টা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
 
আমি তখন ৫ম শ্রেনিতে পড়ি। ক্লাসের সবার মধ্যে রাফি আমার খুব কাছের বন্ধু ছিল। আর ওর কাছের এবং পছন্দের বন্ধু ছিলাম আমি এর বড় একটা কারন- কেউ মিশতে চাইত না ওর সাথে। গ্রামের সবার মধ্যে একপ্রকার ভীতি কাজ করত রাফিদের পরিবার নিয়ে। এমন কোন মানুষ পাওয়া যেত না যে নির্ভয়ে রাফির বাবার সামনে কথা বলত।
 
এখন বুঝতে পারার বয়সে এসে বুঝলাম, রাফির বাবা ছিল সবচে ভয়ানক গ্রামে যত বিশৃঙ্খলা হত তার বেশির ভাগই ওর বাবা জড়িত ছিল। যতদূর মনে পড়ে- দিনে দুপুরে মানুষ খুন করার নজিরও আছে। ঠিক যেমন তামিল মুভিতে দেখি।
 
সময়টা বছরের শেষে, তখন বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল দিবে। এমন একটা দিনে ঘুম থেকে উঠেই শুনলাম, রাফির বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলোক গমন করেন। শুনে প্রচণ্ড কান্না পেয়েছিল। তবে এখনও মনে আছে, পুরো গ্রাম জুড়ে রাফির বাবার মৃত্যু সুখ সংবাদবলে মাইকিং করা হয়েছিল।
 
যেখানে রাফিদের পরিবারে শোকের ছায়া, সেখানে কেউ কেউ আনন্দ-উল্লাস করে হাট-বাজারে মিষ্টি বিতরণ করে। এখন বুঝ হবার বয়সের এসে বুঝি, তিনি তার কুকর্মের জন্যই মানুষের ঘৃণা নিয়ে পৃথিবী ছেরেছিল।