১০ টি কাজ করে নিজের অনুপ্রেরক হয়ে উঠুন

নিজেই নিজের অনুপ্রেরক হয়ে উঠুন

মানুষের জীবনে প্রেষণা অনেক বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যার ফলে মানুষ প্রতিনিয়ত তার কর্মে আত্ম-প্রত্যয়ী হয়ে থাকে। আপনাকে বলছি, আপনি কতটা আত্ম- প্রত্যয়ী? আমি আজ- নিজেকে আত্ম-প্রত্যয়ী হিসেবে কিভাবে গড়ে তুলবেন তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো।

নিজেই যখন নিজের অনুপ্রেরক


এই ১০ টি কাজ আপনাকে নিজের অনুপ্রেরক হতে সাহায্য করবে


১. আত্ম-কথোপকথনঃ এটা খুবি জরুরি একটা বিষয়, নিজের সাথে কথা বলা। আসলে নিজের সাথে কথা বলা বলতে- আপনি একটি কাজ শুরু করবেন। কিন্তু কিভাবে করবেন, কেন করবেন, কোথা থেকে শুরু করবেন তা নিয়ে একটু গবেষণায় নেমে পরুন। গবেষণাটা হতে পারে- আপনি পার্ক কিংবা মনোরম কোন পরিবেশে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে সেই কাজটি কিভাবে শুরু করবেন তা ভাবুন। দেখবেন সেই কাজটি খুব সুন্দর ও মসৃণভাবে শুরু করতে পারবেন।

২. কিছুটা অভিনয়ঃ হা হা, কি ভাবছেন??? এখানে অভিনয় কেন আসলো??? আমি অভিনয় বলতে কোন নাটক কিংবা সিনেমার অভিনয়ের কথা বলছি না। আমাদের অনেক সময় এমন কিছু কাজের সম্মুখীন হতে হয় যেটাতে নিজের ইচ্ছাটা নীরব থাকে। তারপরও কাজটি করতে হয়, সে ক্ষেত্রে- আপনি যতটা পারবেন সেই কাজটির প্রতি ভালোবাসা তৈরি করুন অর্থাৎ, নিজের সাথে কিছুটা অভিনয় করুন। মনে রাখবেন একজন ভালো অভিনেতাকে সকল চরিত্রে অভিনয়ে পারদর্শী হতে হয়। হোক সেটা তার অপছন্দের।

৩. প্রশ্নের সম্মুখিনঃ প্রতিদিন সকালে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রশ্নগুলো এমন হতে পারে-

 আপনি কি এই মুহূর্তে সুখি?
 আপনার জীবন নিয়ে আপনার ভাবনা কি?
প্রশ্নগুলো যে এগুলোই হবে তা নয়। আমি শুধু মাত্র কিছু নমুনা দেখালাম।

৪. সাফল্যকে স্মরণঃ এ পর্যায়ে আপনার কিছু ছোট ছোট সাফল্যকে সরণ করুণ। কারণ মানুষ তার সফলতাকে খুব সহজেই ভুলে যায়, তবে তার অকৃতকার্য কোন কাজ খুব ভালোভাবে মস্তিষ্কে জমা থাকে। তাই আপনার সাফল্য বা কৃতকার্য গুলো মনে রাখবেন মাঝে মাঝে সরণ করুণ, দেখবেন অন্য কাজে খুব ভালো অনুপ্রেরণা পাবেন।

৫. সফলকে অনুপ্রেরণাঃ আপনার আসে পাশে অনেকেই খুঁজে পাবেন যারা খুব ভালো কাজ করছে কিংবা সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে এলিয়েন জাতি ভাবার কোন অবকাশ নেই, তারাও আমাদের ৮/১০ জনের মতোই মানুষ। সুতরাং, তাদের সাফল্যে বাহবার সাথে অনুপ্রেরণাও দিন। দেখবেন আপনি নিজেও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।

৬. ভয়কে জয়ঃ Michael Jordan বলেছেন, “I’ve missed more than 9000 shots in my career. I’ve lost almost 300 games. 26 times, I’ve been trusted to take the game winning shot and missed. I’ve failed over and over and over again in my life. And that is why I succeed.”

তাই, আপনার ভয়কে জয় করুণ। এটা সম্ভবত হতে পারে- আপনার ভয় পারার বিষয়গুলো নিয়ে বেশি নারা চারা করুণ। তবেই ভয়কে জয় করতে পারবেন।

৭. গবেষকঃ আপনি একজন মানুষ, একজন দার্শনিক অবশেষে একজন গবেষক এই ভাবনায় মনোনিবেশ করুণ। আপনার কাজে কিছু বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করুণ। সর্বোপরি, গবেষক হয়ে পরুন।

৮. লেখকঃ আপনাকে একজন লেখক হতে হবে সেটা বলছি না। তবে আপনার একটা উদ্দেশ্য থাকা বাঞ্ছনীয়। আপনার প্রতিটা কাজ শুরু করার আগে ওই কাজ সম্পর্কে কিছুটা লেখা-লেখি করুণ। 

উদাহরণ সরূপ বলতে পারি, ধরুন আপনি একজন ফ্রিলান্সার হতে চান। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সেই স্বপ্নটা দেখতে হবে। হা হা হা, বলে রাখা ভালো- ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলে হবে না। আপনাকে অবশ্যই জেগে জেগে স্বপ্ন দেখতে হবে। আর সেই স্বপ্নটা আপনাকে ঘুমুতে দিবে না, এমন হতে হবে। তবে স্বপ্নটাকে লালন করার জন্য আপনি আপনার বেড-রুম, স্টাডি রুম, টেবিল ইত্যাদির সামনে লিখে রাখতে পারেন। যেটা আপনাকে প্রতিনিয়তই প্রেরণা দিবে।

৯. বিরতিঃ আপনার প্রতিদিনের রুটিন কিছুটা পরিবর্তন আনুন। আপনি হয়তো অনেক টিভি দেখে থাকেন, সেই অভ্যাসগুলো ক্রমেই কমাতে থাকুন। কিছুটা বিরতি নিয়ে কোন নতুন কাজে হাত দিন দেখবেন খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

১০. সৃষ্টিশীলঃ আপনাকে অবশ্যই সৃষ্টিশীল হতে হবে। ধরুন- আপনি আপনার জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ার জন্য একটা কাগজে কিছু আইডিয়া লিখতে পারেন। এবং ধারাবাহিকভাবে তা পর্যালোচনা করুণ। আপনার সব আইডিয়াই ভালো হবে এমন না। কিছু আইডিয়াকে ক্রেন্দ্র করে এগিয়ে জান।


আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে কিছু লেখার প্রয়াস মাত্র। ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। শুভেচ্ছা সবাইকে।