হতাশা কে দূরে ঠেলে দিন এবং প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যান
প্রতিটা মানুষ ভালো থাকতে চায়। কিন্তু চলার পথে বা জীবন থেকে কিছু ছিটকে পড়লে অথবা অপূর্ণতা থাকলে মানুষ আর ভালো থাকতে পারে না। আসলে আমি “ভালো থাকতে” বলতে- সুখের থাকার কথা বলছি... অহ দুঃখিত লিখছি। ভালো না থাকার- পিছনে অনেক কারণ জড়িয়ে থাকে। যাইহোক, সেদিকে না যাই। আমি আপনাদের কিছু পরামর্শ, ঠিক তা না; কিভাবে ভালো থাকা যায় শত হতাশার মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা করব।
হয়তো আপনার অনেক টাকা পয়সা, ভালো চাকরি, ভালো সম্পর্ক, সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদি থাকতেই পারে
তারপরও দেখা যায় আপনার মধ্যে সুখ জিনিশটার বড়ই অভাব। আপনি কি কখনই খুঁজে দেখেছেন
কেন এই অভাব??? হাঁ আপনাকেই বলছি, খুঁজে
বের করুন কোথায় আপনার দুর্বলতা??? সাথে এইও ভাবুন কিভাবে
সেটা দূর করা যায়।
আমি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করছি। আশা করি আপনাদের কিছু বলার
থাকলে মন্তব্যের জন্য জায়গা আছে সেখানে লিখবেন।
![]() |
দূর হোক হতাশা, ভালো থাকার প্রত্যাশা
|
১. বর্তমান: ভবিষ্যতের জন্য কোন কিছু অবহেলা করবেন
না। ভবিষ্যতে কোন কাজ ফলপ্রসূ হবে না ভেবে কাজে অবহেলা করবেন না। আমি আবার জোড়
দিয়ে লিখছি অবহেলা করবেন না। বর্তমান নিয়ে ভাবুন আর কিভাবে ভালো থাকা যায় তা
আবিষ্কার করুন। আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।
২. তুচ্ছ কিন্তু লক্ষণীয়: জন্মদিন, বিয়ের অনুষ্ঠান অথবা
কোন ছোট ছোট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করে কিছুটা বিনোদিত হতে পারেন।
হরহামেশাই দেখা যায় আমাদের আশে-পাশের বন্ধুমহল বা পরিবারে কিছু ছোট খাটো
অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে, নিজেকে জড়িত রাখুন দেখবেন
ভালো লাগবে।
৩. সহজ দর্শন: আপনার আশে
পাশে হয়তো অনেক কিছুর সমস্যা চোখে ধরা পরবে। কিন্তু তা নিয়ে বসে থাকলে তো হবে
না। ভাবুন কিভাবে তা নির্মূল করা যায়। হাজার বেস্ততা থাকার পরও নিজেকে কিছুটা
সময় দিন,
জীবনকে সহজভাবে দেখুন।
৪. ভালোর পক্ষে: আপনার বিবেগ, বুদ্ধি
সবি আছে। আপনার বিবেচনায়, আপনার কাছে যেটা ভালো লাগে সেটার
পক্ষে থাকুন। দেখবেন মনে অনেক জোর এবং শান্তি পাবেন।
৫. শিক্ষণীয় দৃষ্টিভঙ্গি: সহজ চিন্তা করুন। কিভাবে আপনার রাগ
কিংবা ক্ষোভ দূর করা যায়। সময় এবং বিশ্বায়নের সাথে সাথে নিজেকে পরিবর্তনশীল করে
গড়ে তুলুন। সবসময় শিক্ষণীয় দৃষ্টিভঙ্গি মনোভাব পোষণ করুন।
৬. সহযোগিতার মনোভাব: আপনাকে অবশ্যই
সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। হয়তো জেনে থাকবেন, কারো
থেকে কিছু পাওয়ার চেয়ে দেওয়ার মধ্যে ভালো লাগা বেশি কাজ করে। তাই মানুষকে খুশি
করুন এবং আপনার সাধ্য অনুযায়ী মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
৭. প্রিয় মানুষের জন্য: কিছুটা সময় আপনার প্রিয় মানুষগুলোর
সাথে কাটান। তাদের সাথে দেখা, কথা বলা এবং কিছুটা আড্ডাবাজি করুন।
প্রিয়মানুষ গুলো হতে পারে আপনার বন্ধু, পরিবার, সহকর্মী।
৮. সবুজ প্রিয়: সবুজ প্রিয়
বলতে- আপনি প্রকৃতিসংক্রান্ত ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবতে পারেন। যেমন গাছ-পালা, ফুল-ফল
ইত্যাদি।
৯. নিন্দুককে ভালোবাসা: যারা আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করে
তাদেরকে কখনোই ছোট করে দেখবেন না। তারা আপনার সম্পর্কে ভালোভাবে আবগত বিধায়
আপনাকে আলোচিত করে থাকে। এই ব্যাপারগুলো যাচাই-বাছাই করে নিজের পক্ষে কাজ করুন।
১০. ভালো চিন্তা: আমার সর্ব
শেষ বিষয়টি হলো- আপনার চিন্তা শক্তিকে ভালো কাজে লাগান। আর এর ফলেই আপনি আপনার
কাঙ্ক্ষিত সুখের স্বর্গ পেয়ে যাবেন।
উক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও অনেক বিষয় আছে। নিজের ভালো লাগা কিংবা মন্দ
লাগার বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দিন দেখবেন ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। তাই হতাশা
থেকে বের হয়ে আসুন আর ভালো থাকার প্রত্যাশা নিয়ে আগামীর পথে চলুন। শুভেচ্ছা রইল।
:D